মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

নতুন করে ভাবতে হবে - সপ্তম পর্ব

সপ্তম পর্ব


অথবা নির্বাচন করার মত অবস্থায় নেই এমন বিজ্ঞ ব্যক্তিকেও মনোনীত করে সংসদে নেয়া যেত এভাবে সংসদে আসা সদস্যগণ নারী বা পুরম্নষ যে কেউ হতে পারেন; অর্থাৎ দল যাকে ভাল মনে করবে তাকেই সংসদে আনবে কেবল নারী সদস্য মনোনয়ন দেয়া বধ্যবাধকতার জালে আটকে থাকতে হবে না জলন্ত্ম উদাহরণ দেই, এমন পদ্ধতি থাকলে বর্তমান আইন মন্ত্রীকে সংসদ সদস্য না হয়ে সংসদে বসতে হত না; আওয়ামী লীগ তাকে সংসদ সদস্য করেই সংসদে বসাতে পারত দেশব্যাপী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট যদি ২ শতাংশ বা তার গুনিতক হয় সেক্ষেত্রে নির্বাচিন কমিশন তাদের একত্র করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনে ভোটাভুটির করে (যাদের জামানত বাতিল হয়নি এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে) সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে পারে সংরক্ষিত আসনের জন্য এতে করে সংসদে আমরা পেতে পারি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তি
অন্য প্রসঙ্গে যাওয়া যাক বর্তমানে দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে দৃশ্যমান অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকার ও বিরোধী দল একে অপরকে সৃষ্ট অবস্থার জন্য দায়ী করছে; প্রকৃতার্থে এর জন্য দায়ী কে- তা এখন স্পষ্ট করে বলা শক্ত বিরোধী দল সরকারকে দায়ী করে বলছে, সরকার হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত রায়ের পুরোটা অনুসরণ করেনি কথাটা একেবারে মিথ্যে নয় সরকার এতটা তাড়াহুড়া না করলেও পারতো আবার সরকার বলছে, বিরোধী দল সংবিধান মানছে না- এটাও সত্য তবে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য সরকার কেন তাড়াহুড়া করেছিল- তা বোধগম্য নয় সংসদে তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে রয়ে-সয়ে সংবিধান সংশোধন করলে কি এমন ক্ষতি হত তা বোধগম্য নয় হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত্ম পূর্ণাঙ্গ রায়ের কটি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে খুব বেশী একটা যে ক্ষতি হতো, তাতো নয় হতে সময়ও ছিল এবং হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে নিয়ে সংসদে বিল আনা যেত তত্ত্ববধায়ক পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্ত্মব্য থাকলেও আগামী আরো দু'টি নির্বাচন তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে করার কথা বলে বিচার বিভাগকে ঐ পদ্ধতিতে না জড়ানোর কথা বলা হয়েছে সরকার সেটি মানতে পারত বা নাও মানতে পারতো তাছাড়া সংসদ যেহেতু সার্বভৌম, সংসদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধাই বহাল হত এতে করে বিরোধী দলের আন্দোল করার পথ কিছুটা হলেও দুরহ হত কার পরামর্শে সরকার এমন তাড়াহুড়া করেছে, তা হয়তো জানা যাবে ত্রিশ বছর পরে, বা আরো পরে এখন আমাদের অনুমান নির্ভর কোন মন্তব্য না করাই শ্রেয়
সরকারের এই দুর্বল সিদ্ধান্তটা  ভিন্ন কোন মস্তিস্ক থেকে এসে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে সেই অদৃশ্য শক্তি দেশে স্থিতিশীলতা চায় না তাদের উদ্দেশ্য হয়তো ভিন্ন রকমের এ কথা সকলেই জানেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হয় বড় বড় আলীসান হোটেলে - যাকে বলা যায় প্রাসাদ ষড়যন্ত্র বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো তাদের স্বার্থে বাংলাদেশ, নেপাল, নাইজেরিয়া বা অধুনা মালদ্বীপের মত সম্ভাবনাময় দেশগুলোয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে থাকে এজন্য তারা ভর করে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর কখনোবা তারা ভিন্ন পথেও এগোয় ওয়ান-ইলেভেন নিয়ে যেমন বিশেষ একটি সংস্থার নাম বরাবর সামনে এসেছে, তেমনি এবারেও কোন বিশেষ সংস্থা কাজ করছে কি না, তা কে জানে!
আন্দোলনের নামে ক্রমাগত হরতাল যে দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়, তা সকলেই বোঝেন বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগও দীর্ঘ মেয়াদে হরতাল করেছে
(চলবে)