শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৩

জলোচ্ছাস এবং আসমানী

জলোচ্ছাস এবং আসমানী

নুরুল্লাহ মাসুম

  
হুসফিরা আসতি আসমানী, তরেই খোঁজলাম
ডাইনে-বামে, এদিক-সেদিক
কোনহানে পাইলাম না

রাইতের কালে হুইছিলাম
একলগে- এক বিছানায়, আর মনে নাই-
হাচাই কই আসমানী, আর মনে নাই

ক্যাদা মাটি আর
পাশে আছে কত্ত মরা গরু-ছাগল
পেটফুলা বহুত মানুষ দেখলাম
কিন্তুক- তরে পাইলাম না

চোখটা ঝাপসা লাইগলো
চলি গেইলাম হপ্পনের রাজ্যি-
য্যান- হাচাই হেই দিন!

বিয়ান বেলা উডি
মেলায় যাবার কথা আছিল-
তোর লাগি আলতা আর
ঠোট মালিস আনুম- কথা দিছিলাম

ঠোটে লাগাবি, আদর করুম,
গাল লাল হইব-
সব কথা কওনও যায় না,
তরে খুজিও পাই না

আগামীর কথা ভাবি
আদর করি তরে, ঘুমাইলাম-
বড় শান্তর ঘুম-
য্যান বেহেস্তের চির শান্তি

মট্ মটাস্ শব্দে
ঘুম ভাঙ্গি গেল, মনে অইল
পানিতে ভাসতাছি-
তুই আমি- পাশাপাশি

আন্ধার চারদিক, খালি দেহা যায়
ধলা পানির মুকুট-
য্যান তুফান দৈত্যের রাজা আসতিছে,
তুই জড়াইয়া ধরলি মোরে;
সাতার কাইট্তাছি- কাইট্তাছি
তুফানের ধাক্কায় জোর কমি গেল
বিষ্টির ঝাপ আরেক জ্বালা-
শীত করতি লাইগল

খানিক বাদে-
কত মাইনষের চিৎকাইর
কে কারে বাচাইব, নিজে ব্যস্ত
যেমনি অইল নিজের বেলায়

তর কতা হুনলাম, পেরেশান-
সাতার কাটতি পারস না
কি করুম কআমি কাহিল-
কেমনে ধরি রাহি!

গর- গর- গরম! বাজ পইড়ল
তুফান দৈত্যি ছুটি আইসলো
গুড়ি একখান পাইলাম হাতে-
তুই নাই, গুড়ি ছুটি গেল

কত বাচাও বাচাও হুনলাম-
ছুটি গেলাম, আসমানী কই
খুজতি লাগলাম অথৈই পানির মদ্যি

মহাজন হিকদার আর দারোগা বাড়ী
বড় দালান গুলান য্যান
লাল চর, নতুন চর, কুককির চর
দেখতে ভালাই লাইগল

লাল ভেজা কাপড় মাথায়,
এই আসমানী-
হায়! কতা কইল না
গেলাম আরেক চরে

কত সাতরাইলাম
জানি না তুই কুনডে আছিলি,
হায় আসমানি!
কোথায় গেলি- ঠোট মালিস পরলি না!

সাহেবেরা আইলো, মোরে তুলি লইল
কত আদর যতœ কইরল-
ট্যাকা দিল,
তরে পাইলাম না

আসমানী- আসমানীরে,
কোনডে গেলি-
সমুদ্দুরে চরে ফেলাই মোরে
ওরে আসমানী!

নীরব স্বাক্ষী

নীরব স্বাক্ষী

নুরুল্লাহ মাসুম


বটবৃক্ষ, বড় হল
ইতিহাস অতি নিষ্ঠুর- করুন
বাল্য কাল
তার মলিকানা বদল
যৌবনে চলে যায়
জগদীশের হাতে চিরতরে
চিরদিনও একদিন শেষ হয়
বদলী হতে হয় গ্রামান্তরে-ভিন্ গাঁয়ে
এবারেও পুনরাবৃত্তি সেই পুরানোর-
কদম খাঁর হাত বদলে
রহিম শেখের বাড়ী
শান্তি নাই-
নাই স্বস্তি কোথাও এ ভূবনে
রহিম শেখও ধরে রাখতে পারেনি-
বেশী দিন
সুন্দরী বটবৃক্ষ, সৌন্দর্যই কাল
লড়াই ভাই ভাইয়ে,
একই ঘরে বাস করে
শেষতক-
বৃক্ষ দাড়িয়ে আছে
ছোট ছেলের হাতে শাখা বিহীন
এক নীরব স্বাক্ষী হয়ে

স্বপ্নলোকের বাউণ্ডুলে

স্বপ্নলোকের বাউণ্ডুলে

নুরুল্লাহ মাসুম


হাসিতে তার মুক্ত ঝরে- শ্রাবণ ধারা যেন
জানতে আমি পারিনি তো- এমন হলো কেন
কুসুম কানন প্রস্ফুটিত- হৃদয় মাঝে যেন

সিন্ধু পাড়ের কন্যা ওগো- মন মাতানো গান
হাবেলী তার বড়ই ভাল- শুধুই কলতান
হেসেই আমি গাইতে থাকি- শুধুই সারিগান

নাইবা পেলাম দেখা কন্যার- নেইকো অভিমান
নয়ন জুড়ে উঠবে আমার- আশার আলোড়ন
লীলায়িত বদন তোমার- দেখবো সারাক্ষ

নিশি যাপিত গৌরী

নিশি যাপিত গৌরী

নুরুল্লাহ মাসুম


তোমার সুতীব্র চিৎকারে যখন
আমার সুকুমারবৃত্তি সমাধিস্থ হয়-
তুমি তখন পর্বতশৃঙ্গে নৃত্যরত ভৈরবী

তোমার অহেতুক হেয়ালীপনায় যখন
আমার শান্ত মন ক্রমাগত অশান্ত হয়-
তুমি তখন পদ্মজলে কেলীরত নন্দিনী

তোমার অবজ্ঞাভরা আচরণে যখন
আমার সৃষ্টিশীলতা গুমরে কাঁদে-
তুমি তখন কৈলাশে ভ্রমণরত পার্বতী

তোমার ভ্রান্ত পদক্ষেপে যখন
আমি কেবলই চিন্তামগ্ন হয়ে উঠি-
তুমি তখন শরতের মেঘভরা নিশ্চিন্ত শর্বরী

তোমার গগণ অবারিত হয় যখন
আমার ভাবনার কিনারা হয় সংকুচিত-

তুমি তখনও নিষুপ্ত নিশি যাপিত গৌরী

দীপ্যমান কাঠিন্য

দীপ্যমান কাঠিন্য

নুরুল্লাহ মাসুম



কষ্টের কাঠিন্য চারিধারে
বেঁধেছে আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে
পালাবার পথ নয় দৃশ্যমান
নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে কাঠিন্য
চাপা বেদনা হৃদয়ের ভেতর
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে থাকে দিনমান
অন্তর্দৃষ্টিও যেন থমকে যায়
খুঁজে পায় না নতুন পথ
ভাবনার অতলে তলাতে হয় সারাক্ষ
পশ্চিমের রক্তিম আভা
হয় ম্রিয়মান পূবালী হাওয়ায়
উত্তর দক্ষিণ করে আরো বেশী অভিমান
প্রকৃতি রূপ বদলায় অহরহ
ধ্রুব তারা আজো স্থির
আষাঢ়ের ডামাডোলে নেই তার কোন স্থান
তবু হারাবার নয়, ধ্রুব
জাগরুক চিরভাস্মর গগণে

কেউ না দেখলেও- সে দীপ্যমান

ভাসমান ভাবনা

ভাসমান ভাবনা

নুরুল্লাহ মাসুম


বিকেলের পড়ন্ত রোদ ছুঁয়ে যায় আমার মন
রূপালী আলোয় উদ্ভাসিত তোমার তনুমন
না বলা বেদনাগুলো ঘুরে ফিরে আসে বারবার
তামাসা করছে যেন আমার সাথে বিশ্ব চরাচর
লতানো ডগাগুলো কাছে আসতে চায় হেলেদুলে
সুশীতল ছায়ার আশায় আমি রয়েছি দোলাচলে
আগামীর কথা ভাবনায় আসে সংকীর্ণতা নিয়ে
ফিরে যেতে চাই, পারি কি নিতে ফিরিয়ে?
আসমুদ্র হীমাচল- ভাবনার অতলে ভাসমান আমি

প্রারম্ভিকতা

প্রারম্ভিকতা

নুরুল্লাহ মাসুম


আন্দোলিত মনের প্রতিটি কণায় উত্তাল ঢেউ
ফিরে তাকাবার ক্ষণবিচারে নেই কোথায়ও কেউ
আকাশের তারাগুলো উঁকি দেয় তরুলতার ফাঁকে
সুবাতাস বইছে যেন অলিন্দের প্রতিটি বাঁকে
লতানো বৃক্ষরাজি সকলেই আজ আলিঙ্গণে মাতোয়ারা
তাল কেটে যায় সারাক্ষণ দেখে তব হাসির ফোয়ারা
না বলা কথাগুলো মনের গহীনে ধীরে ধীরে জমছে
রূপালী আলোয় উচ্ছল চাঁদ অবিরত হাসছে-

বিরহ বেদনায় অপেক্ষার পালা- যেন অবিরাম পথচলা

শীতল পরশ

শীতল পরশ

নুরুল্লাহ মাসুম


শ্রাবণধারা দেখেছ কি তুমি?
তেমনি ধারায় সিক্ত হয়েছি আমি
যখন তুমি বললে- আমি আসছি

চৈত্রের দাবদাহ বৈশাখের ঝড়
আমায় নিয়ে যায় অতলান্তের ওপাড়
আমি পথ খুঁজি- পালাবার

নিরন্তর আমি পথ হারাই
মরুভমির বিস্তীর্ণ সোনালী বালুচরে একাকী
ছিলনা কেউ সেথা- পথ দেখাবার

আচমকা কালবোশেখীর কালো মেঘ
তুমি এলে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে
অনেক উত্তাপের মাঝে- এই অন্তরে

সিক্ত হব আমি নিরন্তর-
তোমার বয়ে আনা শীতল জলধারায়

দিনান্তে তোমার পরশে- হব শান্ত

আতঙ্কের চেতনা

আতঙ্কের চেতনা

নুরুল্লাহ মাসুম


প্রসারিত শান্তির ধারাতুমি এলে না বন্ধু
তুমি কথা রাখলে না
পূর্ণিমার চাঁদ দেখা হবে না

যৌথ আহ্বানে
চাঁদ যথাসময়ে এসেছিল
আকাশে হেসেছিল
মনে কষ্টও পেয়েছিল-
আমরা ছিলাম না বলে

উদ্যানময় পত্রমঞ্জুরী ভেদী
চাঁদ আতি কষ্টে ঢেলেছিল- হাসির ফোয়ারা
নরম দুর্বাঘাসে লুটোপুটি খেয়েছিল
আমাদের পায়নি দেখা
সব আনন্দ মাটি হয় তার

তুমি এলে না বন্ধু
জাত খোয়াবার ভয়ে, বাস্তবাদীর কাছে
অথচ দেখ, ঐ স্থবির চাঁদ
উপাসনার একমাত্র উপলক্ষ
আমার কাছে- সৃষ্টির মাঝে সেরা

জাত এত ঠুনকো নয় বন্ধু
চাঁদ নিজেও ভাগ্য নিয়ন্তা নয়
সৃষ্টির সেরা তুমি- গড়ো নিজ ভাগ্য
অঙ্গুলী নির্দেশে- কাউকে দোষারোপ করোনা
মানবতাই সেরা- সকল সৃষ্টির মাঝে
তুমি এলে না বন্ধু
আমি রাগ করিনি-

আতঙ্কিত তোমার চেতনায়

প্রসারিত শান্তির ধারা

প্রসারিত শান্তির ধারা

নুরুল্লাহ মাসুম


দাবদাহ চারিধারে
তৃষ্ণার্ত হৃদয়- বিরূপ প্রকৃতি,
চাতকের মত প্রতীক্ষা
কালো মেঘের আনাগোনা নেই

প্রকৃতি রূপ বদলায় নিয়ত
ইচ্ছেয় অনিচ্ছেয় অবিরত স্পন্দন
হৃদয়তন্ত্রীতে জাগে বীণা
অপেক্ষার ক্ষণ প্রলম্বিত হয়

অবশেষে মধ্য আষাঢ়ে
হঠাৎ কালো মেঘের আনাগোনা
প্রকৃতি হয় শান্ত- শীতল
অবগাহণে প্রস্তুত প্রকৃতি

হঠাৎ বজ্রপাত নয়
নিয়মনীতির বেড়াজালে আবদ্ধ নয়
প্রকৃতির নিয়ত নিয়মে অবগাহিত হই
নিরন্তর নয়; ক্ষণিকের প্রশান্তি

হায় প্রকৃতি-
ষড় ঋতুর বৈষম্য কেন
কেন নয় অবগাহন নিয়ত?

শান্তির ধারা হোক প্রসারিত- অবিরত

তারে আমি চোখে দেখিনি

তারে আমি চোখে দেখিনি

নুরুল্লাহ মাসুম


ডাক সাইটে মানুষ তিনি- ভেবে নিতে হয়
কথকতায় বুঝে হবে- ভেবে চিন্তে নয়
তাবত কথা বললে মুখে- ভাবনা নাহি রয়
রপ্ত তিনি করেছেন জানি- আর ভাবনা নয়।

সুন্দর একটা মনের মানুষ- কতটুকুই আর জানি
রাত-দিন লেখার মাঝে- ডুবে থাকেন তিনি
ইশারাটা দিতেন যদি একটু- খুঁজে পেতাম জানি
আসল রূপে পেতাম তাকে- সবাই তুমি আমি।

হেরিনু তাকে কখনোই আমি- দুঃখ রয়ে গেল
লেলিহান শিখা সদা উর্ধমুখী- সকলেই তাকে পেল
নতুন ভোরে মিলবে দেখা- আশাটা রয়েই গেল।

সীমাহীন কথকতা

সীমাহীন কথকতা

নুরুল্লাহ মাসুম


সারি সারি শাড়ী আছে দোকানে
ভাল লাগে না মোটেই দেখতে সেখানে
নেমে আয় শাড়ী- জড়াতে ললনায়
অপূর্ব রমনী- জড়িয়ে শাড়ী আর গহনায়

গতরেতে শাড়ী বৃষ্টি ভেজা ললনা
বিধাতার সেরা দান- করে শুধুই ছলনা
ভরে নিয়ে প্রাণ-মন দিশেহারা নরকূ
ঠাঁই নেই কোথায়ও- বাদ নেই দেবকূ

দর্শনে পার্বতী তান্ডব ছেড়ে শান্ত শীব
দশভজা দেবার সহায়- ভয়ংকর অতীব
অসুর বধেও তিনি জড়িয়েছেন লম্বা শাড়ী
হাতে না লয়ে শাড়ী- ঘরে কেমনে ফিরি?

জগৎ ভ্রমিয়া দেখিলাম বিচিত্র সব নারী
বাঙালার সরলা শাড়ী বসনে- যেন আসমানী পরী
আধুনিকতার ছোঁয়া লাগুক না যত
শাড়ী বিনে ললনা- দেয় মনে ক্ষত

শাড়ীর বন্দনা তাই
আমি করে যাই
যার যা খুশী বলুক
উল্টো পথে চলুক
শাড়ী বিনে চাই না নারী
চাই শান্তি প্রিয় একটা বাড়ী


চলে এসো

চলে এসো
নুরুল্লাহ মাসুম

স্বেচ্ছা মৃত্যুবরণকেই বলে আত্মহনন
সে আমি জানি, বিশ্বাস হয় না
তোমার মত বন্ধু সে পথে যাবে
ধরাধাম তোমার কাছে এতটা
বিমর্ষ, তা বুঝিনি কখনো
অথবা বোঝাতে পারনি আমায়
তোমার দুঃখবোধ কতটা গভীর

অবাক হই, শান্ত পদক্ষেেপে
স্থিরচিত্তে তুমি এগোচ্ছ সেই পথে
যেথায় তুমি একেবারেই বেমানান!
আমি বিমূঢ়, নির্বাক; ভাষাহীন
তোমায় বোঝাতে অক্ষম, তবু
বলবো, ফিরে এসো- নবজীবন
তোমার জন্য অপেক্ষা করছে,
ধরাধাম আজো বিবস্ত্র হয়নি
তোমায় রক্ষা করতে অক্ষমও নয়-
আজো কেউ কেউ আছে, তোমার
অপেক্ষায়- দিনমান প্রতীক্ষায়;
ফিরে এসো বন্ধু, হাত পেতে আছি
প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে চেষ্টা কর-
নীলিমায় অম্লজানের অভাব নেই
কেবলই প্রয়োজন তোমার সদিচ্ছা
হতাশা কেন? অনুঘটকের উপস্থিতি
তোমায় কি অনুপ্রাণিত করে না?
তুমি কি প্রচেষ্টার শেষ সীমানায়
চলে গেছ মনে হয়?
তোমার ধারণা ভুল; আবারো
ভেবে দেখ নীরবে-নিভৃতে- একাকী
নীল দিগন্তে চেয়ে দেখ-
সকালটা কত সুন্দর, কত মিষ্টি রোদ
রাতের নীলিমায় হাসকে তারকা
তুমি কি হাসতে পার না আরেকবার?
নীল সাগরে শুভ্র দন্ত দেখতে
কত না সুন্দর! দেখনি কি তুমি?
এসো, আমি তোমায় দেখাবো
প্রাণভরে প্রকৃতি ভালবাসবো দুজনে
ধরণী হাসবে, আমরা পথ চলবো-
নিয়তি মেনেই চলবে তুমি
বাঁধা দেবার কেউ থাকবে না;

চলে এসো বন্ধু, প্রসারিত হাত ধরে

সেঁজুতির রূপগাঁথা

সেঁজুতির রূপগাঁথা

নুরুল্লাহ মাসুম


কুন্তল কালো সরোবরে
হেরিয়া লাস্যময়ী রূপ
লীলায়িত কোন রমনীর-

জানিনেকোন্ কানের সেঁজুতি
মাদকতায় ভুলিয়ে দেয় ধুম্রপান!
নক্ষত্রলোক উদাসধ্যানমগ্ন নটরাজ

বৈশ্বিক প্রেমের আবেশ

বৈশ্বিক প্রেমের আবেশ

নুরুল্লাহ মাসুম


নীল আকাশের রক্তিম দিগন্ত
সুচারু রূপে মিশে আছ নীল সমুদ্রে-
দূর থেকে- বহু দূর থেকে ছুটে আসে
শুভ্র ফেনিল তরঙ্গরাজি সৈকতের পানে
তোমার ছুটে আসাও কি তেমনি হবে?

আষাঢ়ের কালো মেঘ ভেঙ্গে স্বচ্ছ বৃষ্টি যখন
নেমে আসে ধরায়, কে বলবে তা কৃষ্ণ বাতায়নের কান্না
অজনা, অচেনা সেই তুমি এত দ্রুত
সৈকতে ধরা দেবে, ভেবেছি কি তা আমি?
একান্তে, ইথারে তুমি এলে কত কাছে; সংগোপনে

দুধেল শিশুর মত যুথবদ্ধ নরম ঠোঁট
কি অবলিলায় আনন্দ উপভোগে মত্ত; দেখেছ কি?
ফিরে কি পাব সেই ক্ষণ- একান্ত নিরালায়?
ভাবনায় ধরা দেয় কি অপূর্ব এক সময়- নিভৃতে
যুগান্তরের ব্যবধানে; আমি যেন স্বর্গবাসী- তোমারই জন্য

শুরু হোক অথবা বলবো, হলো শুভ যাত্রা
অনাবিল এক নতুন পথ পরিক্রমার- অজানা পথে
শুভ্রতায় যেন ভরে থাকে অনাদিকাল; কাল পরিক্রমায়
যেখানে রক্তিমাভ দিগন্ত আর নীল সাগরের সীমান্ত
মিলেমিশে একাকার- বৈশ্বির প্রেমের আবেশে