বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

নতুন করে ভাবতে হবে - অষ্টম পর্ব

অষ্টম পর্ব

পরর্তীতে ক্ষমতায় এসে সেই হরতালের কারণে দুর্বল অর্থনীতির ভার বইতে হয়েছে আওয়ামী লীগকেই আওয়ামী লীগ সে কথা বহুদিন বলেছে- ২৪ বছরের জঞ্জাল সরতে হয়েছে তাদের এরশাদ আমলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বহু আন্দোলন-হরতাল করেছে স্মরণ করতে হয়, এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের শুরম্নটা হয়েছিল "মজিদ খানের শিক্ষা নীতি" নিয়ে বিরোধিতার মধ্য দিয়ে সাদা চোখে দেখলে দেখতে হয়, দুই বছরের ডিগ্রী কোর্স তিন বছরের হবে, প্রাথমিক শিক্ষ হবে আট বছর মেয়াদী, শিক্ষার ব্যয় বাড়বে- ইত্যাকার বিষয় ছিল মজিদ খানের শিক্ষা নীতির মধ্যে উলেস্নখ্য, মজিদ খান ছিলেন এরশাদ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঝরেছে বহু প্রাণ দেখেছি লাগাতর হরতাল; এরশাদও চেষ্টা করেছেন সেই আন্দোলন দমনে অবশেষে নব্বইয়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত্ম পর্যায়ে এরশাদের বিদায় এবং বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপির ক্ষমতায় আরোহন কি হলো শেষ পর্যন্ত্ম! এখনতো আমাদের সন্ত্মানরা তিন বছরের ডিগ্রী কোর্সই পড়ছে, অনার্স চার বছরের এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ- দুই দলের সরকারই তাহলে মজিদ খানের কি দোষ ছিল?  কেনই বা জাফর-জয়নাল-দীপালী সাহা, জাহেদ, নূর হোসেন ও ডা. মিলনকে জীবন দিতে হলো? এসকল প্রশের উত্তর কে দেবে? প্রসঙ্গত আরেকটি কথা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ছিলেন এরশাদ সরকারেরও অর্থমন্ত্রী তখন অবশ্য তাকে সবাই জানত এ. এম. এ. মুহিত নামে তিনি সে সময়ে কানাডা গিয়ে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তাহলে আমাদের মত সাধারণ পাবলিক (আম-জনতা)-কে বলতেই হয়, মুহিত সাহেব এরশাদ সরকারে থেকে শিক্ষার যে বাণিজ্যিকীকরণ করতে পারেননি, আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে একজন সাবেক তুখোর কম্যুনিস্টকে শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে সামনে রেখে সেই আরাধ্য সাধনে সমর্থ হয়েছেন! পাঠকের এ কথাও নিশ্চয়ই স্মরণ আছে বর্তমানশিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন বাংলাদেশের কম্যুনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র সাধারণ সম্পাদক
(চলবে)