বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০১৪

নতুন করে ভাবতে হবে –অষ্টাদশ পর্ব

অষ্টাদশ পর্ব

গত সোমবার এলিট ফোর্স অধিনায়ক জানিয়েছেন এখন থেকে র‌্যাব নিয়মিত টহল দেবে না, কোন ধরণের তল্লাশী কাজে অংশ নেবে নাএমনকি দরপত্র বা· পাহারা, জমিজমা ও টাকা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা এবং পারিবারিক বিরোধ নিয়েও এখন থেকে ধরণের কর্মকান্ডে অংশ নেবে না র‌্যাবইতোমধ্যে র‌্যাবের প্রত্যেক ব্যাটালিয়নকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেনর‌্যাব নির্ধারিত সাত মৌলিক কাজের বাইরে বা অন্য কোনো ধরণের বাড়তি কর্মকান্ডে অংশ নেবে নার‌্যাবের সাত দায়িত্বের মধ্যে আছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত, সশস্ত্র জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আটক করা, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ-বিস্ফোরক দ্রব্যসহ সব ধরণের অবৈধ দ্রব্য উদ্ধার করা, অন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করা, গোয়েন্দা তথ্য সংগহ করা, সরকারী নির্দেশে যে কোনো অপরাধের তদন্ত করা এবং যে কোনো ধরণের দায়িত্ব পালন করাস্মরণ করা যেতে পারে, কিছুদিন ধরেই র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুম-অপহরণসহ নানা ধরণের অভিযোগ আসছিলসর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের কয়কজন কর্মকর্তা গ্রেপ্তগ্রহণএ নিয়ে র‌্যাবের মূল কাজের বাইরে অন্যান্য কর্মকান্ড ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখী হয়এর মধ্যেই র‌্যাবের পক্ষ থেকে সাতটি মৌলিক কাজের বাইরে অন্যান্য বাড়তি কাজে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দেয়া হলহঠাৎ করেই র‌্যাবের এমন সিদ্ধান্ত জনমনে আতংক সৃষ্টি করতে পারের‌্যাবের কেউ কেউ দুঃষ্কর্মে যুক্ত থাকলেও ফোর্স হিসেবে  র‌্যাব নিয়ে কেউ মেতন একটা নেতিবাচক কথা ঢালাও ভাবে বলেনির‌্যাবের কেউ যদি অপরাধের সাথে যুক্ত হয়, তার বিচার হবে নিয়ম মেনে; তবে কোন আইনে র‌্যাব সদস্যদের বিচার হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার নীতিমালা থাকা প্রয়োজনমনে রাখতে হবে র‌্যাবে সামরিক ও আধা ও বেসামরিক সদস্য রয়েছেআগেই আমরা দাবী করেছি এ বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতেপ্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, বিডিআর বিদ্রোহের কারণে ঐ বাহিনীর নাম বদলে বিজিবি করা হয়েছে, এখানে যেন র‌্যাব বাদ দিয়ে ভিন্ন নামে এমন খিচুরী বাহিনী তৈরী করার ভাবনা মাথায় না আসেপঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সেনা বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট জাতির জনক ও তার পরিবারের হত্যার সাথে যুক্ত থাকায় ঐ সকল ইউনিট বিলুপ্ত করা হয়েছিল; বিডিআর এর ক্ষেত্রেও এমনটি হলে ভাল হত।  র‌্যাবের অপরাধী সদস্যদের বিচার সুষ্ঠু ভাবে করা হলে এবং সরকার আন্তরিক হলে র‌্যাব বিলুপ্ত করার প্রসঙ্গ আসতে পারে নাতবে র‌্যাবের গঠন প্রণালী ও কার্যাবলী নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে নিসন্দেহের‌্যাব যেহেতু পুলিশের একটি অংশ, নতুন ভাবনার সময় সেই বিষয়টি মনে রাখলেই হবের‌্যাব যেন কোনভাবেই মূল প্রতিষ্ঠান পুলিশের ওপর স্থান না পায়বিশেষ বাহিনী হিসেবে র‌্যাবের কর্মযজ্ঞ হবে দ্রুত ও আধুনিক; তাই বলে পুলিশের প্যারালাল সংস্তায় যেন আত্মপ্রকাশের অবস্থানে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর যে অসহায়ত্ব ভাব জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে চাই, সংসদীয় গণতন্ত্র মেনে দেশটাকে পুরো মন্ত্রি-পরিষদ শাসিত দেশে পরিণত করতে হবেসকল কাজে প্রধানমন্ত্রীর একক নেতৃত্ব বা প্রাধান্য সরকারকে নির্বাচিত স্বৈরশাসকে পরিণত করতে বাধ্যসরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ইতিহাসের জঘন্যতম একনায়ক জার্মানীর হিটলার এবং ইতালীর মুনলিনিও ছিলেন জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিতক্ষমতার একক কেন্দ্র বিন্দু পরিণত হয়ে তারা কাল-ক্রমে একনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেনঅতএব এক কথায় বলতে চাই, সাধু সাবধান!

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

নতুন করে ভাবতে হবে - সপ্তদশ পর্ব

সপ্তদশ পর্ব 


সংসদে না থাকলেও দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রধান স¤প্রতি এলিট ফোর্স র‌্যাবের বিলুপ্তি দাবী করার পর থেকে এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক চলছে প্রতিনিয়তমনে রাখতে হবে র‌্যাব নামক বিশেষ এই বাহিনীর সৃষ্টি হয়েছিল সে সময়ের প্রধান-মন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাতেইএমনকি তিনিই র‌্যাবকে দিয়ে অপারেশন ক্লিন হার্ট করিয়ে এবং র‌্যাবকে দায়মুক্তি দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেনর‌্যাব কি? এ প্রশ্নের উত্তরে সকলেই বলবেন, এটি একটি বিশেষ বাহিনী; যাকে এলিট ফোর্স বলা হয়র‌্যাবের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্যানুসারে র‌্যাবের মিশন বা লক্ষ্য হচ্ছে: সন্ত্রাস দমন ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা এবং ওই ওয়েবে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস শিরোনামে বলা হয়েছে: বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি উন্নয়-নশীল দেশআমাদের উন্নতির পথে যে সকল বাধা বিপত্তি রয়েছে তার মধ্যে, অস্থিতিশীল আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অন্যতমএ রকম একটি পরিস্থিতিতে যখন সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ অনি-শ্চিয়তার মাঝে ভুগছিল, তখন পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষে্য যে সরকার একটি এলিট ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করেক্রমান্বয়ে সভা-সমন্ব, আলোচনা ও গবেষণার পর সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সংক্ষেপে র‌্যাব ফোর্সেস নামে একটি এলিট ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনগত ২৬ মার্চ ২০০৪ তারিখে জাতীয় স্বধীনতা দিবস প্যারেডে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) জনসাধারনের সামনে আত্ম প্রকাশ করেজন্মের পরপরই এই ফোর্সের ব্যাটালিয়ন সমূহ সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকে এবং স্ব স্ব এলাকা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করেএর মাঝে প্রথম অপারেশনাল দায়িত্ব পায় ১৪ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান রমনা বটমূলে নিরাপত্তা বিধান করার জন্যএরপর আবার র‌্যাব মূলত তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিলগত ২১ জুন ২০০৪ সাল থেকে র‌্যাব ফোর্সেস পূর্ণাঙ্গভাবে অপারে-শনাল কার্যক্রম শুরু করে
দি আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ানস অর্ডিনসন্স ১৯৭৯ সংশোধন করে ২০০৩ সালে জারি করা দি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানস (অ্যামেন্ড-মেন্ট) অ্যাক্ট-২০০৩ অনুসারে র‌্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠা করা হয়আইন অনুসারে এই বাহিনী করা হলেও সাধারণভাবে বা সাদা চোখে এই বাহিনী একটি খিচুরি বাহিনী হয়ে আছেআইন অনুসারে এই বাহিনীর কমান্ড করবে পুলিশের একজন অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শকতাঁর অধীনে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, আনসার এমনকি কোস্টগার্ড থেকেও সদস্য নেয়ার বিধান রাখা হয়সশস্ত্র বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন, বাকী সবগুলো ¯^রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনসশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অপরাধে সামরিক আইন রয়েছের‌্যাবে কর্মকালীন অপরাধে সেই সামরিক সদস্যের বিচার সামরিক আইনে হওয়ার কতটা সুযোগ রয়েছে, সেটা কি আইন প্রণয়নের সময় ভেবে দেখা হয়নি? মনে রাখতে হবে সামরিক বাহিনীর গোপনীয়তা বিশ্বজনীন; সেখানে বেসামরিক আইন প্রয়োগের সুযোগ নেইতবে সেই সামরিক সদস্যকে দিয়ে কেন বেসামরিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হলো  সে বা তারা সেখানেই যদি কোন অপরাধ করে, তাদের বিচার কেন গোপনে হবে। আমি মনে করি র‌্যাবের গঠণ প্রক্রি-য়াতেই ভুল ছিল; যা এখন সংশোধ করার সময় এসেছেদু-চার জন র‌্যাব সদস্যের অপরাধের জন্য পুরো বাহিনী বিলুপ্ত করার কোন যুক্তি নেইতবে এ বিষয়েও সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, র‌্যাব যেহেতু পুলিশের একটি বিশেষ ব্যাটালিয়ান, সেহেতু র‌্যাবে কর্মরত সকলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকেই কাজি করতে হবে এবং এই বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ করলে বা অপরাধে যুক্ত হলে সকলের জন্য একই আইন প্রয়োগ করতে হবেএবিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে সম্মান করার মত সাহস ও দক্ষতা দেখাতে হবে সরকারকে

শনিবার, ১০ মে, ২০১৪

নতুন করে ভাবতে হবে – ষোড়শ পর্ব

ষোড়শ পর্ব


আইন কি সবার জন্য সমান নয়? বাস্তবে যাই দেখা যাক না কেন আমাদের সংবিধান তাই-ই বলেকেউ-ই আইনের উর্ধে নয়যদিবা বৃটিশ ঔপনিবেশিক কাল থেকেই আমরা আইনের সমান প্রয়োগ দেখেছি- একথা হলফ করে বলা যাবে নাবৃটিশরা তাদের উপনিবেশ ধরে রাখার জন্য নানানভাবে আইনের অপপ্রয়োগ করেছে, আইনের ভাষায় শিশুকেও ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেপাকিস্তান আমলের বেশীরভাগ সময় স্বৈরশাসকরা তাদের প্রয়োজনে আইনকে ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছেস্বাধীন বাংলাদেশে অন্তত এইটুকু আশা করা হয়েছিল- বিদেশী শাসক বিদেয় হয়েছে, বাংলার মানুষ হয়তো আইনের শাসন পাবেবান্তবে হলো উল্টোদিন দিন আইনের শাসনের অপমৃত্যু প্রত্যক্ষ করতে থাকলো বাঙালীস্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই এ ধারা চলে আসছে এবং ক্রমান্বয়ে এ অবস্থার অবনতি ঘটছেবিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ক্রমাগত বেড়ে চলেছে আমাদের দেশেআমরা এমন সরকারও প্রত্যক্ষ করেছি যারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের অব্যহতি দিয়ে আইন পর্যন্ত করেছেতাহলে দেশের আমজনতার মতো করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে হয়, যায় দিন ভাল, আসে দিন খারাপ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত তিন সামরিক কর্মকর্তাকে অকালীর অবসরে পাঠিয়ে সরকার এক প্রকার স্বকার করেই নিয়েছে, অভিযুক্তরা অপরাধীঅবাক বিষয় হলো, তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না এনে সকল সুবিধা দিয়ে অবসরে পাঠানো হয়েছে, যেমনটি পেয়ে থাকেন স্বাভাবিক নিয়মে যে সকল সরকারী কর্মকর্তা অবসরে যানকথা উঠতে পারে, তারা সামরিক বাহিনীর সদস্য, তাদের বিচার হবে সামরিক আইনেবিষয়টা তাতো নয়তারা সামরিক সদস্য হলেও যে সংস্থায় থেকে তারা অপরাধ করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে বা সন্দেহ করা হচ্ছে, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়াধীন শৃংখলা রক্ষা বাহিনী পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী, এটির প্রধান বরাবরই পুলিশের লোকমানুষ মনে করে, তাদের সিভিল আইনেই বিচার হওয়া উচিতস্মরণযোগ্য, আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ও এনএসআই প্রধানকেও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছেনারায়ণগঞ্জ হত্যাকান্ডে যাদের অভিযুক্ত বলে সন্দেহ করে অবসরে পাঠানো হলো, তারা কি পূর্বোক্তদের থেকেও প্রভাবশালী- এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক
দরিদ্র কলেজ ছাত্র লিমনের পা হারানোর ঘটনায় পুরো র‌্যাব দায়ী নয়, দায়ী দু-চার জন র‌্যাব সদস্য; তাদের ক্ষমতার অপ-ব্যবহারের যথাযথ বিচার হলে হয়তো আর কোন এমনতরো ঘটনা ঘটতো নাকেন জানি না কথিত দু-চার জন দোষী ব্যাক্তির পক্ষে নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মরিয়া হয়ে ওঠেন- তাদের বাঁচানোর জন্য!  কেন তারা পারেন না আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে? কেন তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে ভয় পান? ঐ দু-চার জনের জন্য পুরো বাহিনীর গায়ে কালিমা লেপন হয়; যদিবা তা আইনের দ্বা প্রমানিত হয় না; তবু জনসমাজে সকলেই তা বিশ্বাস করেনপ্রশ্ন- দু-চার জন ব্যক্তির অপরাধের বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়িত্ব কেন পুরো বাহিনী নেবে? মনে রাখতে হবে দেশের সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগনের করের টাকায় লালিত-পালিত হনতারা সকলেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীপ্রজাতন্ত্রের মালিক সাধারণ জনগণ; তাদের প্রতি ক্রমাগত অবিচার হতে থাকলে পরিনাম ভাল হবার নয়
ক্ষমতায় থাকার জন্য আমাদের সরকারগুলো (অতীতের বা বর্তমানের) গণতান্ত্রিক ধারা অনুসরণ করেছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষদলের চেয়ে দেশ বড় বলা হলেও বরাবরই বাংলাদেশ দেখেছে, দল কতটা বড় হয়ে আছে দলীয় প্রধান বা শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের কাছে; এ ধারার পরিবর্তন প্রয়োজন এবং সরকারকেই এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে সকলের আগে

রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

নতুন করে ভাবতে হবে

পঞ্চদশ পর্ব

কী লিখবো? দেশ নিয়ে না মানুষের জীবন নিয়ে? আমরা জাতি হিসেবে কি হতাশ না ব্যর্থ? না কি আমরা মানুষের গোত্রচ্যুত হয়েছি? গত বছর থেকেই আমরা চরমভাবে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছিলাম৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বটেঅন্তত কিছুটা হলেও নিরাপদে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছেবাসে অগ্নিসংযোগের বয়টা কেটেছে, কেটেছে হঠাৎ কোন বিপদের মুখোমুথী হওয়ার শংকাবিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গুম হওয়ার একটা আতংক ছিল; সেটা ভয়ংকর হয়ে ওঠে প্রদান বিরোধী দলের নেতা ইলিয়াস আলীর গুম হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েতারও আগে চৌধুরী আলমের মত নেতাদেরও গুম হতে দেখা গেছেএমন ঘটনা কেবল রাজধানীতে নয় দেশের অন্যত্রও দেখা গেছেবেশীরভাগই গুম হওয়া ব্যক্তির আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নিএইতো সেদিন পরিবেশ আইনবিদ রেজওয়ানার  স্বামী গুম হলেন এবং সকলকে অবাক করে দিয়ে তিনি উদ্ধারও পেলেন, তবে অবস্থাদৃষ্টে কেউ তাকে উদ্দার করেনি; গুমকারীরাই তাকে ছেড়ে দিয়েছেআরো অবাক করা বিষয়, তারা তাকে বাড়ী ফেরার জন্য গাড়ী ভাড়াও দিয়েছেবলতে ইচ্ছে করছে- চোর হলেও ওরা লোক ভালগেল সপ্তাহে নারয়ণগঞ্জে একসাথে তিন জন অপহৃত হলেন দিন-দুপুরেসপ্তাহের শেষ দিকে তাদের লাশ পাওয়া গেল মীতলক্ষ্য নদীতেএখানেও পরিবর্তন লক্ষণীয়- লাশগুলো পাওয়া গেছে
একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিরাপদে বসবাস করা ও পথচলার অধিকার সকলের রয়েছেসরকারের দায়িত্ব সকলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাসেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যখন বলেন, গুম আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে- এতে ঘাবরাবার কিছু নেই; তখন ভাবতে মন চায় আমরা কি তাহলে ব্যর্থ রাষ্ট্রে বসবাস করছি, না কি মধ্যযুগীয় কোন রাজার রাজ্যে? বেশীরভাগ অপহরণ ও গুমের পেছনে বিশেষ একটা বাহিনীর দিকে অদৃশ্য অঙ্গুলী হেলন রয়েছেনারায়ণগঞ্জের ৭ অপহরণ ঘটনার পর শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সাদা পোশাকে অভিযান বন্ধ রয়েছে বলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী সাদা পোশাকে অপরাধী ধরার জন্য অভিযান চালাতেই পারে, তবে সেক্ষেত্রে নিয়মানুসারে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করার কথা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেবাহিনী গুলো কি তা করছে? যদি করতো তাহলে অপহরণ বা গুমের ঘটনায় তাদের দিকে অঙ্গুলী হেলন হতো নানারাণগঞ্জে ৭ অপহরণ ও হত্যার পরে প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের যে কোন মূল্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেনপত্রিকান্তেরে দেখেছি, একই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পুলিশ ও র‍্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে কোন ফল পান নিসব কাজেই কি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ লাগবে? তবে সংসদীয় গণতন্ত্র কেন? একনায়কতন্ত্র চললেই তো ভাল, অন্তন দলীয় ঝামেলা থাকবে না প্রশাসন ও সাধারন মানুষের মাথার ওপরে!
সংশয় জাগে, কে বা কারা এমন কাজ করছে! সরকার কি তাদের খুঁজে বের করতে পারে না? কেন রয়েছে ডজনখানেক গোয়েন্দা সংস্থা, কি করেন তারা? না কি তারাও কোন না কোন ভাবে সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করেন? না কি ভাবতে হবে, সরকারের ভেতরে বাইরে অন্য কোন শক্তি দেশ চালনায় ভূমিকা রাখছে- যারা দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে সহজেই বিশ্ব দরবারে কুখ্যাতি এনে দিতে সহায়তা করছে? সরকার প্রধান এক নন, সমষ্টিগতভাবে মন্ত্রিপরিষদকেই  বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবেসংসদীয় গণতন্ত্রে সকল কাজের সমান ভাগীদার আপনারা সকলেইমনে রাখবেন, কেবল দলীয় প্রধানের সন্তুষ্টি দিয়ে সরকারে থাকা গেলেও দেশসেবা করা যায় না। (চলবে)

নতুন করে ভাবতে হবে

চতুর্দশ পর্ব


বাংলা নববর্ষের শুভ কামনা দিয়েই শুরু  করেই বলতে চাই, বাংলা নতুন বছরের শুরুটা হয় নতুন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়েগ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নতুন বর্ষ গণনা করা হয় মধ্যরাতের অব্যবহিত পরেই অর্থাৎ রাত ১২টা ১ মিনিটেআরবী নববর্ষ বা হিজরী গণনা করা হয় আকাশে নতুন চাঁদ দেখা দেয়ার মধ্য দিয়েবিশ্বায়নের যুগে কেউ কেউ বাংলা নববর্ষ মধ্যরাতের পর থেকে শুরু করার কথা বলছেনবাংলা একাডেমিতো আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যরাতে বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করে দিয়েছে ১৪০২ সাল থেকেস্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বিশ্বব্যাপি প্রচলিত টাইম সেইভের পদ্ধতি বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছিল আড়ম্বরে ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা পিছিয়ে দিয়ে, তা কি ফলপ্রসু হয়েছে? বিশ্বায়নের এ যুগে সকলের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে কি আমরা সাপ্তাহিক ছুটি শনিবার বা শনি ও রবিবার করতে পেরেছি? বিশ্বায়ন যতই হোক না কেন, নিজস্ব ¯স্বকীয়তা কি একেবারে মুছে ফেলতে হবে? আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়ত আমারা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে চলেছি।  বার্ষিক রাষ্ট্রীয় বাজেট প্রণয়ন করছি জুলাই-জুন বছর ধরেআমরা কি জানি পার্শবর্তী দেশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গে এখনও বাজেট হয় এপ্রল মাসে।  ইরানসহ মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে (পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশেও) নওরোজ পালিত হয় এই গ্রীষ্মে অর্থাৎ মার্চ মাসে
বাংলা নববর্ষ বিশ্বের ২৫ কোটিরও বেশী বাঙালীর প্রাণের উৎসবযদিও ভারতে একদিন পরে ১৫ এপ্রিল এটি পালিত হয়; তবু আচার-আচরণ প্রায় একই ধরণেরনতুন বছরে ব্যবসা-য়ীদের হালখাতা খোলা, চৈত্র সংক্রান্তি থেকে গ্রাম্য মেলা অনুষ্ঠান ইত্যাকার অনুষ্ঠানাদিসহ নববর্ষ পালনের ধারা সর্বত্রই একবিশেষত বাংলাদেশে একমাত্র বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানই সার্বজনীনসকল ধর্মের ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ দিনটি উদযাপন করে থাকেদেশের পাহাড়ী এলাকায়ও পালিত হয় নববর্ষ কিছুটা ভিন্ন নামেবৈশুক, সাংগ্রাই ও বিজু- মিলিতবাবে বৈশাবী উৎসব আর বাংলা নববর্ষ উদযাপন তেম কোন ভিন্ন বিষয় নয়এবারের ঢাকা মহানগরীতে প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে রাস্তায় মানুষের ঢল আবারো প্রমান করেছে পহেলা বৈশাখ প্রকৃতার্থেই বাঙালীর প্রাণের উৎসবঢাকার বাইরেও নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে আবহমানকাল ধরেস্বাধীনতার পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এ উৎসবের ব্যপকতা লাভ করেছে নিঃসন্দেহেতবে জাতীয়তা-বাদের উগ্রতায় ঐক্যবদ্ধ নববর্ষ পালন যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবেরমনা বটমূলে বাংলা বর্ষ বরণ শুরু হয়েছিল পাকিস্তান আমলে তৎকালীন সরকারের বৈরী আচরণের মধ্য দিয়েআজ সেই অনুষ্ঠান এমনি এক প্রতীকে পরিণত হয়েছে যে, নতুন বছর মানেই রমনা বটমূলসেই অনুষ্ঠানের বিকল্প যদি কেউ অন্য কিছু ভাবতে চায়, তা হয়ত কালের আবর্তনে হারিয়ে যাবেপৃষ্টপোষকতা না হোক (দরকার আছে কি?) ভিন্নতা আনার প্রচেষ্টা যেন না হয়চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে এইতো সেদিন-১৯৮৯ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়েআজ সেই শোভাযাত্র দেখে মনে হয় এটি যেন চিরকালের চেনা কোন উৎসবমোদ্দাকথা হলো, যেকোন উৎসব যদি সাধারণ মানুষের মন কেড়ে নিতে পারে, মানুষের মনের ভেতরে জায়গা করে নিতে পারে, সেটিই হয়ে ওঠে সার্বজনীনসেটিকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যায় নাবাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গে পহেলা বৈশাখ সরকারী ছুটির দিনসরকার দিনটি পালনে সহায়তাও করে থাকেকিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও সরকারী সিদ্ধান্ত অমান্য করে দিনটি পালন তো করেই না, ছুটিও পালন করে নাসরকারকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবেসরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করার অধিকার কি তাদের আছে? সরকার কি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে না?                                                                              (চলবে)

নতুন করে ভাবতে হবে

ত্রয়োদশ পর্ব

অবশেষে দশম জাতীয় সংসদ কার্যকর হলো নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়েযদিও এ নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে নানান কথা হচ্ছেপ্রধান বিরোধীদল বিবর্জিত নির্বাচনে যাঁরা নির্বাচিত হলেন, তাদের নিয়ে কথা হবে অনেক দিন পর্যন্ত; দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এ নির্বাচনকে একদলীয় নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করবে ভবিষ্যতবর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদকে অসুস্থ বানিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে রেখে দলের আরেক নেতা, দলীয় প্রধানের স্ত্রী রওশন এরশাদকে দিয়ে দলটিকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করাটাও ইতিহাসে লেখা থাকবেপ্রধান বিরোধী দলরে প্রধানকে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল নির্বাচনের দিন পর্যন্ত্ম; যদিও নির্বাচনকালীন সরকার তা কখনই স্বীকার করেনিএসব কারণেই এ নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে এত কথা হচ্ছেএরপরেও নির্বাচন শেষে নবম সংসদ বহাল রেখে দশম সংসদের দায়িত্ব গ্রহণ আরেকটি ইতিহাস হয়ে থাকবেসংবিধান অনুযায়ী নবম সংসদ ভেঙ্গে দেয়া বা নবম সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবার পরেই দশম সংসদের দায়িত্ব নেয়ার কথা, অর্থাৎ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার কথাআমরা বুঝি না, দশম সংসদের সদস্যদের শপথ দেয়ার আগে নবম সংসদ ভেঙ্গে দিলে কি ক্ষতি হতো! অথবা আরো ১৫ দিন অপেক্ষা করে দশম সংসদ এর নবনির্বাচতি সদস্যদের শপথ দিলে কি ক্ষতি হতো! এমনটি করলেই বরং সংবিধান রক্ষা করা হতোশেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার বারবার দেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার কথা বলেই একতরফা এ নির্বাচন করলেও দশম সংসদের সদস্যদের শপথ দেবার ক্ষেত্রে জেনে-শুনে সংবিধানের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালোপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলে এসেছেন, বিরোধী দল বিএনপি জামায়াত ত্যাগ করেত পারছে না বলেই নির্বাচনে আসছে নাহাইকোর্ট যেখানে জামাতের নিবন্ধন অবৈধ বলে ঘোষণা করছে, সেখানে সরকার কেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করছে না? সংবিধানে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য হাইকোর্টের র্পূণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই দ্রম্নততার সাথে যে সরকার তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল' করে সংবিধান সংশোধন করতে পারে, তারা কেন হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক জামায়াত নিষিদ্ধি করতে পারবে না? এখানেই কি তাদের দ্বিচারিতা! তারা কি জামায়াত নিষিদ্ধ করার দায়বার নিতে চায় না! মনে রাখতে হবে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এদশে নিষিদ্ধ ছিল; এখন তেমনি একটি দল, যাদের নিবন্ধন বৈধ নয় বলে হাইকোর্টও রায় দিয়েছে- তাদের নিষিদ্ধি করতে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দলটির এত গড়িমসি কেন?
জানা গেল, আগামী রোববার নতুন মন্ত্রীসভা শপথ নেবে, অর্থাৎ গঠিত হতে যাচ্ছে দশম সংসদের অধীন সরকারশেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন তা তো নিশ্চিত; সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদএও শোনা যাচ্ছে জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করলেও মন্ত্রীসভায় তারা যোগ দেবেনযদি তাই হয়, তাহলে কার্যত দেশে সংসদে কোন বিরোধী দল থাকবে নাসে ক্ষেত্রে বিএনপিসহ যে সব দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি, তারা জোর গলায় বলতে পারবে, এ সরকার মূলত বাকশাল কায়দায় একদলীয় বা একজোটের সরকারএই ইস্যুতে আগামীতে সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে
নবম সংসদ রেখে দশম সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পড়ানোর মধ্যে দিয়ে এখন কি দেশে কার্যত দু'টি সংসদ চালু রইলো না? নবম সংসদের মেয়াদ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত্ম এবং যেহেতু নবম সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হয়নি, তাই ঐ সংসদের একজন সদস্য যদি নেজেকে সংসদ সদস্য দাবী করেন, সে ক্ষেত্রে সরকার বা স্পিকার কি উত্তর দেবেন? (চলবে)