কুড়িতম পর্ব
বর্ষবরণে
ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় এলাকায় ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফলাফল আসবে
না, তবে
সচেতনতা বাড়েব। দেশের
প্রধানমন্ত্রী নারী হওয়া সত্তে¡ও এর আগে আমরা দেখেছি জাহাঙ্গীরনগরে সেঞ্চুরিয়ানদের। ১৯৭৩ সালের ঘটনা এ প্রজন্মের জানার
কথা নয়। নব্বই
দশকের ডাকসু নির্বাচন শেষে বিজয় মিছিলের ঘটনা অনেকেরই মনে আছে বা থাকার কথা। সকলের কাছে ‘বাধন’ ঘটনা
এখনো উজ্জ্বল। ক·বাজার সৈকতে বিদেশী পর্যটকের
স্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা কারো কারো হয়ত মনে আছে। লক্ষ্য করুন,
সব জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এহেন অপকর্ম
ঘটায়...। এবারেও
কি ব্যতিক্রম? না,
তা বলার সুযাগ নেই। ১৯৭৩ সালের ঘটনাটা বাদ দিলে দেখবো
সবগুলো ঘটনার সময় দেশের প্রধান ব্যক্তি নারী। এসকল অঘটনপটয়সীদের পরিচয় ও শক্তি
একটাই... ক্ষমতা....। এদের রাজনৈতিক অভিভাবকরা কখনও কি
এদের নিবৃত করেছে বা করতে চেয়েছে? সেঞ্চুরিয়ানদের কি বিচার হয়েছিল?
যদি হত,
তাহলে পরের ঘটনাগুলা
ঘটত না। একুশে
বই মেলার ঘটনারও কোন বিচার হয় নি বা হতে দেয়া হয় নি। কারণ হিসেবে ভাবা যায়,
লাঠিয়ালদের ‘লালন-পালনে’ তাদের
রেহাই দেয়া হয় বা দিতে হয়। আগের দিনের জমিদার বা সামন্ত প্রভুরা যেমন করে লাঠিয়াল পালন করত। সমস্যা হলো,
কেউ যদি “এদের” কথা
সহস করে বলতে যায়, নন্দীর
মত তার হাত ভাঙ্গবে, না
ভাঙ্গলেও ভেঙ্গে দেয়া হবে। কোটি টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা বসাবেন, কাজের সময় সকলে “ছি ছি” করবে,
কাজের কোন কাজ হবে না,
এটাইতো বাস্তবতা। প্রক্টর পিসিতে গেম খেলবেন এমন
একটা বড় আয়োজনের সময়, ভাগ্যিস
তিনি নিরোর মত বাঁশি বাজাচ্ছিলেন না। অবশ্য বাঁশি বাজালেও শোনা যেত না ভুভুজোলার কারণে।
কথা
বাড়িয়ে লাভ নেই, দাবী
করছি:
- প্রক্টরের
দায়িত্বে অবহেলার কারণে পদত্যাগ, না করলে বরখাস্ত।
- কর্তব্যরত
পুলিশদের কর্তব্যে অবহেরার কারণে শাস্তি প্রদান।
- সিসি
ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপরধী সনাক্ত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা।
সবশেষে:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি
কি কেবল সোনার ছেলেদের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে আবারো ছাত্রলীগের অভিভাবক হিসেবে
পদত্যাগ করবেন, না
ওদের নিবৃত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন? ওদের লাগাম টেনে ধরুন না একটিবার,
যাতে আরকেবার ওরা
সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে না পারে! আজ ক্ষমতায় বিএনপি থাকলেও আমি একথাই
বলতাম তাদের নেতাকে।
দেশটা
সকলের, কারো
একার নয়, কোন
দলেরও নয়। একথাটা
মনে রাখলে “গণতন্ত্র” থাকবে,
থাকবে সুন্দর
বাংলাদেশ।
১৭-০৪-২০১৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন